আমরা মহান আরশের প্রভু আল্লাহ্র কাছে দোয়া করছি তিনি যেন আপনাকে সুস্থ করে দেন।
আপনার উপর আবশ্যক হল নির্ভরযোগ্য ডাক্তারের কথার উপর নির্ভর করা। আপনি যে রোগে ভুগছেন যদি এ রোগ থেকে মুক্তির আশা থাকে তাহলে আপনি সুস্থ হওয়ার পর বর্তমান রমযান ও বিগত রমযানের যে দিনগুলোর রোযা রাখতে পারেননি সেগুলোর কাযা পালন করবেন। যেহেতু আল্লাহ্তাআলা বলেন: “আর কেউ অসুস্থ থাকলে কিংবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করবে।”[সূরা বাক্বারা, ২: ১৮৫]
আর যদি রোগটি দূরারোগ্য হয়; আরোগ্য লাভের আশা না থাকে; তাহলে আপনার উপর আবশ্যক হল: বর্তমান রমযান ও বিগত রমযানের প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ানো। যেহেতু আল্লাহ্তাআলা বলেন: “আর যাদের জন্য সিয়াম কষ্টসাধ্য তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদিয়া দেয়া তথা একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করা।”[সূরা বাক্বারা, আয়াত: ১৮৪]
ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন: “তিনি (আয়াতে উদ্ধৃত ব্যক্তি) হচ্ছেন: বয়োবৃদ্ধ নর ও নারী; যারা রোযা রাখতে পারেন না। তারা প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়াবেন।”[সহিহ বুখারী (৪৫০৫)]
যে রোগীর আরোগ্য লাভের আশা নেই তার হুকুম বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তির হুকুমের অনুরূপ।
ইবনে কুদামা (রহঃ) ‘আল-মুগনী’ গ্রন্থে (৪/৩৯৬) বলেন:
“যে রোগীর আরোগ্য লাভের আশা নেই তিনি রোযা না রেখে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনকে খাওয়াবেন। কেননা তিনি বৃদ্ধ লোকের হেতুর অধিভুক্ত।”[সমাপ্ত]
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) “মাজালিসু রামাদান” (পৃষ্ঠা-৩২) বলেন:
“রোযা রাখতে অক্ষম ব্যক্তি যার অক্ষমতা চলমান ও দূর হওয়ার আশা নেই, যেমন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি কিংবা ক্যান্সারের মত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি যার সুস্থতার আশা নেই; এমন লোকের উপর রোযা রাখা ওয়াজিব নয়। কেননা তিনি রোযা রাখতে সক্ষম নন। আল্লাহ্তাআলা বলেন: “তোমরা সাধ্যানুযায়ী আল্লাহ্কে ভয় কর।”[সূরা তাগাবুন, আয়াত: ১৬] তিনি আরও বলেন: "আল্লাহ্কাউকে তার সাধ্যের বাইরে দায়িত্বারোপ করেন না।"[সূরা বাক্বারা, ২:২৮৬]
তবে এমন ব্যক্তির উপর প্রতিদিনের রোযার পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য খাওয়ানো ওয়াজিব।[সমাপ্ত]
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।