সংরক্ষণ করুন
  • New List
আরও
    সংরক্ষণ করুন
    • New List
0 / 0

হারাম মাসসমূহে শিকার করা কি হারাম?

প্রশ্ন: 97216

হারাম মাসসমূহে শিকার করা কি হারাম?

উত্তর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। দুরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক আল্লাহর

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। হারাম মাসগুলো হচ্ছে- রজব, যিলক্বদ, যিলহজ্জ ও মহররম। আয়াতে কারীমাতে এ মাসগুলোকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। (আয়াতের অনুবাদ হচ্ছে)“নিশ্চয় আল্লাহর নিকট, লওহে মাহফুজে (বছরে) মাসের সংখ্যা বারটিআসমানসমূহ ও পৃথিবীসৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি হারাম (সম্মানিত)। এটাই সরল বিধান।সুতরাং এ মাসগুলোতে তোমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।”[সূরা তওবা, আয়াত: ৩৬]এ মাসগুলোতে শিকার করতে কোন বাধা নেই। তবে শিকারের নিষিদ্ধতা দুইটি বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত: এক:

হজ্জ বা উমরার ইহরাম বাঁধা। কারণ আল্লাহ তাআলা বলছেন (ভাবানুবাদ হচ্ছে):“হে ঈমানদারগণ ইহরাম অবস্থায় শিকার করো না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছাকৃত শিকার করে, তাকে এর সমতুল্য এক পশু বদলা দিতে হবে। এর ফয়সালা তোমাদের মধ্যে থেকে দুজন ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি করবে। আর এ হাদী কাবায় পাঠাতে হবে। অথবা এ জেনায়েতের কাফফরা স্বরূপ কয়েকজন মিসকীনকে খানা খাওয়াতে হবে। অথবা সেই পরিমাণে রোযা রাখতে হবে। যাতে করে সে ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের পরিনাম ভোগ করতে পারে। যা হয়ে গেছেআল্লাহ তা মাফকরে দিয়েছেন। যে ব্যক্তি পুনরায় এ কান্ড করবেআল্লাহ তার কাছ থেকে প্রতিশোধ নিবেন।আল্লাহ পরাক্রান্ত,প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম।”[সূরা আল মায়েদা, আয়াত: ৯৫]

ইবনে কাছীর (রহঃ) বলেন: এটি ইহরাম অবস্থায় শিকার নিষিদ্ধের ঘোষণা ও সে অবস্থার নিষেধাজ্ঞা। সমাপ্ত [তাফসিরে ইবনে কাছীর (২/৯৯)]

দুই:

হারামের সীমানার মধ্যে শিকার করা। এ প্রসঙ্গে বর্ণিত হাদিসগুলোর ভিত্তিতে হারামের সীমানা বলতে মক্কা ও মদিনা উদ্দেশ্য:

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন দাঁড়িয়ে বললেন: “নিশ্চয় আল্লাহ যেদিন আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টি করেছেন সেদিনই মক্কাকে হারাম (পবিত্রস্থান) ঘোষণা করেছেন। আল্লাহর ঘোষণার ভিত্তিতে এটি কেয়ামত পর্যন্ত হারাম। আমার পূর্বে কারো জন্য মক্কাকে (যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে) বৈধ করা হয়নি। আমার পরেও কারো জন্য তা বৈধ নয়। আমার জন্য দিনের সামান্য কিছু সময় বৈধ করা হয়েছিল। এখানের শিকারকে তাড়ানো যাবে না, কাঁটাগুলো ছেড়া যাবে না।”[সহিহ বুখারি (১২৮৪) ও সহিহ মুসলিম (১৩৫৩)]

হাদিসের দালিলিক অংশ হচ্ছে- ‘এখানের শিকারকে তাড়ানো যাবে না’ এটি সুস্পষ্ট ভাষ্য যে, মক্কাতে শিকার তাড়ানো হারাম। শিকার করাতো আরও জঘন্য হারাম। আর মদিনার ব্যাপারে সহিহ হাদিসে আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলতেন: যদি আমি মদিনাতে হরিণ চরতে দেখি তবে আমি একে সন্ত্রস্ত করব না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “মদিনার দুই লাবা ভূমির মাঝের জায়গাটুকু হারাম (পবিত্রস্থান)।”[সহিহ বুখারি (১৭৭৪) ও সহিহ মুসলিম (১৩৭২)]

লাবা বলা হয় হাররাকে অর্থাৎ কালো পাথরকে। মদিনায় কালো পাথরের দুটি ভূমি আছে। একটি হল পূর্বপাশে, অন্যটি হল পশ্চিমপাশে।

পক্ষান্তরে, হারাম মাসগুলোর সাথে শিকার নিষিদ্ধ হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহই ভাল জানেন।

সূত্র

সূত্র

ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

টেক্সট ফরম্যাটিং অপশন

at email

নিউজ লেটার পেতে সাবস্ক্রাইব করুন

নিয়মিত আপডেট ও ওয়েবসাইটের নিত্য নতুন তথ্য পেতে ইমেইল দিয়ে সাবস্ক্রাইব করুন

phone

ইসলাম প্রশ্ন এবং উত্তর অ্যাপ্লিকেশন

কন্টেন্টে আরও দ্রুত অনুসরণ করুন এবং ইন্টারনেট ছাড়া ব্রাউজ করার সুযোগ

download iosdownload android

আপনি সফলভাবে Wasl এ লগইন করেছেন। আমরা আপনার প্রিয় আইটেমগুলি আপনার অ্যাকাউন্টে সুরক্ষিতভাবে স্থানান্তর করছি। দয়া করে আমাদের এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করুন। আপনার ধৈর্য এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।

answer
পূর্বের তথ্য পাওয়া গেছে
ইসলাম প্রশ্ন ও উত্তর ওয়েবসাইটে আপনার পূর্বের তথ্য পাওয়া গেছে। আপনি কি এগুলি ইমপোর্ট করতে চান?

New List

হারাম মাসসমূহে শিকার করা কি হারাম? - ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব